হাইল হাওরে মোট পাখির সংখ্যা ১০,৭১২টি

WhistlingDucksচলতি শীত মৌসুমে মৌলভীবাজারের বাইক্কাবিল হাইল হাওরে সর্বমোট ১০ হাজার ৭১২টি পাখির দেখা মিলেছে। দুইদিনব্যাপী বাইক্কাবিল হাইল হাওরে পাখি শুমারি শেষে এ তথ্য জানা গেছে।

নেদারল্যান্ড ভিত্তিক ‘ওয়েটল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’-এর ভলান্টিয়ার এবং বেসরকারি ইউএসএইড’র ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস্ অ্যান্ড লাইভলিহুডস্ (ক্রেল) প্রকল্পের সিনিয়র ন্যাচারাল রির্সোস অ্যাডভাইজার পল এম থম্পসন শ্রীমঙ্গলে এ পাখি শুমারি শুরু করেন। বৃহস্পতিবার থম্পসন নিজেই বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ১১ ও ১২ জানুয়ারি দুইদিনব্যাপী শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাইক্কাবিল হাইল হাওরে এ পাখি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।

পল এম থম্পসনইউএসএইড’র ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেমস্ অ্যান্ড লাইভভলিহুডস্ (ক্রেল) প্রকল্পের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মো. মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাস’র আওতায় ২০০৪-২০১৭ সালে বাইক্কাবিল হাইল হাওরে ১৯০ প্রজাতির দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে পল থম্পসন ১১-১২ জানুয়ারি দুইদিন বাইক্কাবিল হাইল হাওরে পাখি গণনা ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাইক্কাবিল হাওরে ১৯০ প্রজাতির মোট ১০ হাজার ৭১২টি জলচর পাখি পেয়েছেন থম্পসন। আর এবছর নতুন ৪০ প্রজাতির পাখি বাইক্কাবিলে এসেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-ধলা বালি হাঁস ৪৩৯টি, গেওয়ালা বাটান এক হাজার ৩৪২টি,পাতিপানমুরগী ৭৬৬টি, কুট ৬০৯টি, উদয়ী বাবু বাটান ৫টি।’

এছাড়াও বড়তিত ও বাংলা শকুন প্রজাতির পাখিও এ বছর নতুন দেখা গেছে।

/এসএনএইচ/