আতিয়া মহলের অভিযান কখন শেষ হবে?

সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান 

সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলের’ কাছে রবিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ১০মিনিটের মাথায় দু’টি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এছাড়া থেমে থেমে গুলির  শব্দও শোনা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আতিয়া মহলে ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসপর্ণের জন্য বার বার আহ্বান করা হচ্ছে। সর্বশেষ ৩টা ১০ মিনিটে আতিয়া মহলের ভেতরে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। তবে দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার অভিযান শেষেও এখন পর্যন্ত  জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করেনি। কবে নাগাদ অভিযান শেষ হবে তাও বলতে পারছেন না কেউ।

এদিকে আতিয়া মহলের অদূরে এলাকাবাসী ও উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে। পুলিশ সড়কে চৌকি বসিয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও জনতাকে নিরাপদ দূরত্বে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আতিয়া মহলের ভেতরে তিনজন লোকের হাঁটাচলা লক্ষ করা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, পুরো ভবনটি জঙ্গিদের নিন্ত্রয়ণে রয়েছে।  রবিবার সকাল নয়টা ৫৭ মিনিট, ১০টা ৭ মিনিট, ১১টা ৪৩ মিনিট ও বেলা ২ টা ৪১ মিনিটে শক্তিশালী চারটি বোমার বিস্ফোরণ হয়েছে আতিয়া মহল ও আশপাশে। এরমধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ বিস্ফোরণটি ছিল খুবই শক্তিশালী। বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে।

৩টা ৫০ মিনিটের বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকায় থাকা পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর আতিয়া মহলের পলেস্তারা খসে পড়েছে।’ তবে কবে নাগাদ এই অভিযানের শেষ হবে, তা বলতে পারছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বর, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক, পাড়াইরচক থেকে পীর হবিবুর রহমান চত্বর পর্যন্ত এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও দলবদ্ধভাবে চলাফেরা না করার আদেশ জারি করা হয়েছে।

এর আগে ‘আতিয়া মহল’–এর ঘেরাও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আতিয়া মহল বাড়ির ভেতর থেকে বাইরের দিকে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এরপর থেকেই ‘আতিয়া মহল’ঘিরে রাখে পুলিশ। জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনার জন্য শুক্রবার বিকেলে সোয়াত টিম ও রাত সাড়ে ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আর অভিযানে নেতৃত্ব দিতে রাত চারটার দিকে সিলেটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। শনিবার ভোরে আতিয়া মহলে অভিযান শুরু করে সোয়াত ও সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী।

 আরও পড়ুন: কী হচ্ছে জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে?

/এমএনএইচ/