কুসিক নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন প্রার্থীরা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। অলিগলি-রাজপথ, সবখানেই দেখা গেলো নির্বাচনি প্রচারণা। তাই মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) শেষ মুহূর্তে প্রচারণায় ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে গিয়েছিলেন সবাই।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চাই: সীমা
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা নিজ এলাকা নগরীর ঠাকুরপাড়ায় শেষ প্রচারণা চালান ও ভোটারদের সমস্যার কথা শোনেন এবং নির্বাচিত হলে সমাধানের আশ্বাস দেন। এর আগে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস কার্যালয়, গোবিন্দপুর, অশোকতলা, নুনাবাদ ও বিসিক এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।

গণসংযোগে ব্যস্ত আঞ্জুম আরা সীমা

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেছেন, ‘জনগণের রায় মেনে নিতে আমি সবসময় প্রস্তুত ছিলাম, এখনও আছি। ক্ষমতা দিয়ে নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চাই। কুমিল্লায় যে পরিবেশ বিরাজ করছে, তা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। পরিবর্তন চায়। তারা পরিবর্তনের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন আশা করি। আমি যেখানে গিয়েছি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি। সবাই আমার প্রতি ইতিবাচক ছিলেন। ৩০ মার্চ বোঝা যাবে সবাই আমাকে কতোটা গ্রহণ করেছে। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক এবং উন্নয়নের প্রতীক। আমার বিশ্বাস, কুমিল্লার উন্নয়নের জন্য ৩০ মার্চ নৌকাকে বেছে নেবেন ভোটাররা।’

এ সময় সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জামিল সেলিম ও ডা. আজম খান নোমানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখছি: সাক্কু
শেষ প্রচারণায় সকালে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজের বাসায় বৈঠক করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখালে সারাবিশ্বের লোকজন বাহবা দেবে।’ তবে তার অভিযোগ, ‘আমার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। তবুও আমি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখছি।’

গণসংযোগে ব্যস্ত মোঃ মনিরুল হক সাক্কু

বিকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারণায় বের হন সাক্কু। এ সময় তিনি এ সময় তিনি যান লাকসাম রোর্ডের কাসেমূল উলুম মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায়। পরে নগরীর রেসকোর্স এলাকায় একটি উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন সাক্কু। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করেছি। সামর্থ্যরে বাইরে কেউ যেতে পারে না। জনগণের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। সবার সুখ-দুঃখে ছিলাম। আশা করি ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর রউফ চৌধুরী ফারুক, শফিউল আলম রায়হান, সারওয়ার জাহান দোলনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

/জেএইচ/