পুলিশের ওপর হামলা: মামলা থেকে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম বাদ

চট্টগ্রামে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ (ছবি- ফোকাস বাংলা)

চট্টগ্রামের কাজির দেউরি এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলা থেকে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশের দায়ের করা মামলা থেকে ইমু-রনির নাম বাদ দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৯ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। এরপর প্রাথমিক তদন্তে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়। শুধু তাদের নাম নয়; ঘটনায় সরাসরি জড়িত ও পুলিশের হাতে আহত ছয় ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়া বাকি সবার নামই বাদ দেওয়া হয়েছে।’

পুলিশ জানায়, নির্মাণাধীন সুইমিং পুল এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগে অপর একটি মামলা করেন ওই সুইমিং পুলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম স্বপন। মঙ্গলবার রাতে এ মামলাটি করা হয়। এতে ইমু ও রনিসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৮এপ্রিল) চট্টগ্রামের কাজির দেউড়িতে সুইমিংপুল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আউটার স্টেডিয়ামে একটি সুইমিংপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগ এ সুইমিংপুল নির্মাণে বাধা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে সড়ক অবরোধ করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা সুইমিংপুলের সীমানা প্রাচীর, রাস্তার পাশের দোকান, গাড়ি ও মিনিবাস এলোপাতাড়িভাবে ভাঙচুর শুরু করে। তারা প্রায় ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর পুলিশ ফাকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

/এমএ/টিএন/