জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও আপস নয়: বাদশা

বক্তব্য রাখছেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপিজঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জনসভায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বোমা-হামলা ও ষড়যন্ত্র করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। ধর্মব্যবসায়ী, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টি আপস করবে না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে বির্তক দেখা দিয়েছে। দেশের মাটিতে মৌলবাদ ও পাকিস্তানপন্থিদের কোনও খবরদারি চলবে না। সংবিধানের বাইরে কিছুই করা যাবে না। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া হয়েছে।’

শনিবার বিকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘ওয়ার্কার্স পার্টি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবে। রাজশাহীতে বাংলা ভাই, বিএনপি-জামায়াত, পাকিস্তানি ও রাজাকারদের শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সম্প্রতি মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে সাম্প্রদায়িক পার্থক্য যারা সৃষ্টি করছে, আমরা তা মানি না। মানবো না। ধর্ম যার যার কিন্তু রাষ্ট্র সবার। এনিয়ে বির্তক সৃষ্টি করা মানে রাজাকারদের হাতকে শক্তিশালী করা।’

ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নূর আহমদ বকুল, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ঠাঁকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল।

জনসভা পরিচালনা করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু ও জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা।

প্রধান অতিথি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে থাকে সিটিবি। সংবিধান অনুযায়ী একমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রগতিশীল শিক্ষানীতির কথা বলা আছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধূলিসাৎ করতে পাঠ্যবইয়ে সংশোধনী এনে কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দেশের মাটিতে পাকিস্তানপন্থি রাজকারদের জায়গা হবে না। এটাই ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনীতি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে দেখতে চাই। হেফাজতের সঙ্গে আপস মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। হেফাজতের সঙ্গে  আপস করে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। বরং সংকট আরও গভীরে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি হেফাজতের সঙ্গে কোনও আপস মেনে নেবে না।’

/এপিএইচ/