ফের ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হলো রাউধার মরদেহ

রাউধা আথিফফের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী, মালদ্বীপের মেয়ে রাউধা আথিফের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নগরীর হেতেম খাঁ কবরস্থান থেকে মরদেহটি তুলেছে রাজশাহী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, রাউধার মৃতদেহ কবর থেকে তোলার জন্য সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহীর হেতেম খাঁ কবরস্থানে হাজির হয় সিআইডির একটি টিম। এসময় জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. রক্তিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে লাশ তোলা হয়। এসময় রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাউধার মৃতদেহটি আবারও ময়নাতদন্তের জন্য তুলে রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধারের পর ৩১ মার্চ মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই প্রতিবেদনে রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করে মেডিক্যাল বোর্ড।

পরে গত ১১ এপ্রিল রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাউধা আত্মহত্যা করেছে বলেই তাদের মনে হয়েছে
রাউধার মৃত্যুর ১২ দিন পর গত ১০ এপ্রিল তার সহপাঠী সিরাতকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ। রাজশাহীর আদালতে দায়ের করা ওই মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্তের ভারও দেওয়া হয় সিআইডিকে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) থেকে মামলা দুইটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি
/টিআর/এপিএইচ/