মৌলভীবাজারে আরও ১৪শ হেক্টর জমি প্লাবিত

মৌলভীবাজারে পানিতে প্লাবিত জনপদকয়েক দিনের ভারি বর্ষণে মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওর এলাকার আরও ১৪শ তিন হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বাকি ধানও তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কান্তি দত্ত এ খবর নিশ্চিত করেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে নতুন করে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কাউয়াদীঘি হাওরে একশ ৬০ হেক্টর, রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরে ৬শ ২৩ হেক্টর ও হাইল হাওরে ৬শ ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
এর আগে, গত মার্চে আকস্মিক বন্যায় রাজনগর উপজেলায় আটশ ৫০ হেক্টর সম্পূর্ণ এবং ১১শ হেক্টর জমির বোরো ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া, সদর উপজেলায় কাউয়াদীঘি হাওরের আড়াইশ হেক্টর সম্পূর্ণ ও ৭শ হেক্টর জমির আংশিক এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরে দেড়শ হেক্টর সম্পূর্ণ ও এক হাজার ৪৭ হেক্টর জমির ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ধান ভেসে উঠলেও নতুন করে বর্ষণে আগের ক্ষতিগ্রস্ত ধানের সঙ্গে নতুন ধানও ডুবে গেছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলুফার ইয়াসমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোমবার দিনব্যাপী হাওর পরিদর্শন করেছি। হাওর এলাকা ভুনবীর, মির্জাপুর, শ্রীমঙ্গল ও কালাপুর ইউনিয়নের ধান পানিতে ডুবে গেছে।’
রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাস বলেন, ‘বৃষ্টিতে হাওরে পানি অন্তত দুই হাত বেড়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আনিসুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পানি কমেছিল। একাধারে বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে বিভিন্ন ছড়া দিয়ে হাওরে পানি ঢুকছে। এতে হাওরে পানি বেড়ে গেছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি হাওর থেকে অন্তত ছয় ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

আরও পড়ুন-

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩

বাল্যবিয়ে থেকে বাঁচতে ইউএনও’র কাছে স্কুলছাত্রীর আবেদন

/এসএমএ/টিআর/