কলেজছাত্রী শিখা মণ্ডল অপহরণ মামলায় গ্রেফতার ১

অপহরণসাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধানখালী গ্রামের কলেজছাত্রী শিখা রানী মণ্ডল অপহরণ মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার গভীর রাতে তাকে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গত ২৩ দিনেও পুলিশ শিখা রানী মণ্ডলকে উদ্ধার করতে পারেনি।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ও পূর্ব ধানখালী গ্রামের হরেন মণ্ডলের ছেলে অশ্বিনী কুমার মণ্ডল জানান, তার মেয়ে শিখা মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গত ৭ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে কলেজে যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১০ এপ্রিল তিনি শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
অপহৃত শিখার বাবা আরও জানান,পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে,ছোট ভেটখালী গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছার বস্ত্র ব্যবসায়ী শুকুর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন শিখাকে অপহরণ করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে তিনি বাধ্য হয়ে গত ২৭ এপ্রিল রাতে শ্যামনগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় শুকুর আলী, তার ছেলে শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

শুক্রবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার রায় শুকুর আলীকে ইটাগাছা থেকে গ্রেফতার করেন।

অশ্বিনী কুমার মণ্ডল তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার রায় জানান, শুকুর আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ছেলে শফিকুলকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  একইসঙ্গে শিখা রানী মণ্ডলকে উদ্ধারের তৎপরতা অব্যহত আছে।

/এপিএইচ/

আরও পড়ুন: স্ত্রীর লাশ ঢাকায়, স্বামীর সিলেটে