নন্দীগ্রামে ১৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

বগুড়া

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। এতে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলায় মোট ১০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টিতে প্রধান শিক্ষক নেই।

পেংবনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী শিক্ষিকা শামিমা আকতার। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক কাজে মাঝে মাঝে উপজেলা সদরে যেতে হয়। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হয়।’

গুলিয়া কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের পদে কেউ না থাকায় আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নিয়মিত প্রশাসনিক কাজে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি ঠিকমত পাঠদান করতে পারি না।’

আবদুর রাজ্জাক, মোসলেম উদ্দিন, রোকসানা খাতুন, হোসেন আরা নামের অভিভাবকরা জানান, এমনিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঠিকমত লেখাপড়া হয় না। তার ওপর প্রধান শিক্ষক না থাকায় একজন সহকারী শিক্ষককেই ওই দায়িত্ব পালন করতে হয়। এতে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীরা কোনও কোনও বিষয়ে পড়ার সুযোগই পাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিয়োগ ও পদোন্নতি না হওয়ায় শূন্য পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত ও পদোন্নতির তালিকা পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হলেই শূন্য পদ পূরণ করা হবে।’

/এমএ/