লংগদু সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুলিন মিত্র আদু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কখনও বলিনি যে, আমরা ত্রাণ নেবো না। সরকারের উচ্চ মহল থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আমরাও আশ্বস্ত হয়েছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আমাদের অবস্থা শোচনীয়। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তো কিছুই নাই। আমরা চাই, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সঠিকভাবে পুনর্বাসন করা হোক। তার আগ পর্যন্ত রেশনের ব্যবস্থা করা হোক।’
লংগদুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (১৭ জুন) পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন লাগার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলের প্রধান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দীন তালুকদার আমাদের জানিয়েছেন, সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। আমরাও আশা করছি, শিগগিরই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় ৩ জুন লংগদু থানা পুলিশ বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩শ জনের নামে মামলা দায়ের করে। পরে ১১ জুন আরও ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত তিন শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা করেন কিশোর চাকমা নামের এক ব্যক্তি।
এদিকে, শুক্রবার (৯ জুন) খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে তারা নয়ন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানায় পুলিশ। নয়নের মোটরসাইকেলটিও দিঘীনালার মাইনী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি রমেল চাকমা ও জুনেল চাকমা পুলিশকে জানিয়েছে, মোটরসাইকেল ছিনতাই করার জন্যই তারা নয়নকে হত্যা করে। তবে নয়ন হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটরসাইকেলটি কোথাও নিয়ে পারেনি হত্যাকারীরা। সেটি বিক্রি করতে না পেরে তা মাইনী নদীতে ফেলে দেয় তারা।
আরও পড়ুন-
বান্দরবানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনও অনেক পরিবার
রাঙামাটির আশ্রয়কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি ও শিশুখাদ্যের সংকট
/টিআর/