শহরের জামে মসজিদ রোডে আবস্থিত কাপড় ও জুতার দোকানগুলোতে এতদিন ব্যস্ততা চোখে না পড়লেও এখন এ এলাকায় প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তায় মানুষ ও যানবহনের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে। এ এলাকার কয়েকটি শাড়ির দোকানে দেখা গেল ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করেও ক্রেতা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
বৈশাখী শাড়ি কুটিরের পরিচালক সোহেল আহম্মেদ জানালেন, ‘রোজার প্রথম থেকে বিক্রি ছিল না বললেই চলে। শেষ মুহূর্তে এসে বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে।’
জুতা ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী মিলু বলেন, ‘অনেক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই এখন কয়েক লাখ টাকার জুতা বিক্রি করছি।’
মাগুরা সুপার মার্কেট, বেবি প্লাজা, নুরজাহান কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতেও বেচাকেনা চলছে সমান গতিতে। এখানে শাড়ি, জুতা ছাড়াও গার্মেন্ট্স দোকানগুলোতে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে।
সুপার মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে সবাই তৈরি পোশাকের দিকে বেশি ঝুঁকছে। মেয়েদেও থ্রিপিছ ও ছেলেদের পাঞ্জাবির ব্যাপক চাহিদা। সেই সঙ্গে বাচ্চাদের পোশাকও খুব বিক্রি হচ্ছে।’
এদিকে নগরীর বিউটি পার্লারগুলোতে নারীদের উপস্থিতি চোখে পরার মতো। নীলাচল বিউটি পার্লারের কর্নধর মুন্নি জানান, ‘এখন যেকোনো বিউটি পার্লারে কাজ করাতে হলে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। ঈদ যতো এগিয়ে আসবে আমাদের ব্যস্ততা ততই বাড়বে।’
এদিকে মার্কেটের আইন-শৃঙ্খলা মোটামুটি সন্তোষজনক। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দিনরাত কাজ করছি। আশা করছি কোনও ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে না।’
/এসএনএইচ/