সাতক্ষীরায় ধরা পড়েছে ৭৬ টি সাপ





সাতক্ষীরার দুই উপজেলার পৃথক দুইটি বাড়ি থেকে ৭৬ টি সাপ ধরা হয়েছে। ছবি-প্রতিনিধিসাতক্ষীরার দুই উপজেলার দুইটি বাড়ি থেকে ৭৬ টি সাপ ধরা হয়েছে। সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের সাত্তার খানদারের বাড়িতে একই গর্ত থেকে ৫৬টি সাপ ও ৫০টি ডিম উদ্ধার করা হয়। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে বেউলা গ্রামের মকবুল সরদার ওরফে খোকনের বসতঘরের একটি গর্ত থেকে ২০টি গোখরা সাপ ধরা হয়। এ নিয়ে সেখানে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সাতক্ষীরা ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা বলেন, ‘ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের সাত্তার খানদারের বাড়িতে পুরাতন মাটির ঘরের গর্ত থেকে ৫৬টি সাপ ও ৫০টি ডিম উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে আতঙ্কমুক্ত হয়েছে এলাকাবাসী।’

বুধবার (৫ জুলাই) রাত ১২টার দিকে আব্দুস ছাত্তার খানদারের মায়ের হাতের ওপর একটি পদ্মগোখরা সাপ উঠলে সাপটিকে মেরে ফেলা হয়। সকালে তার ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৬) ঘরের মেঝেতে আরও একটি সাপ দেখতে পায় এবং সেটিও মেরে ফেলে। পরে আব্দুস সাত্তার ঘরের মেঝের মাটি খুড়লে একাধারে ৫৬টি সাপ বেরিয়ে আসে এবং ৫০টি ডিম সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর একজন সাপুড়েকে আনা হয়। তবে বড় ধরনের কোনও সাপ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বাড়িটির চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

সাত্তারের ছেলে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে এতগুলো সাপ। অথচ আমরা জানতাম না। গোটা বাড়ির ওপর যেন সাপের রাজত্ব চলছিল।’

সাতক্ষীরা ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা বলেন, ‘ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের সাত্তার খানদারের বাড়িতে পুরাতন মাটির ঘরের গর্ত থেকে ৫৬টি সাপ ও ৫০টি ডিম উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে আতঙ্কমুক্ত হয়েছে এলাকাবাসী।’

এদিকে বুধবার (৫ জুলাই) বিকালে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে বেউলা গ্রামের মকবুল সরদার ওরফে খোকনের বসতঘরের একটি গর্ত থেকে একে একে ২০টি গোখরা সাপ ধরা হয়েছে।

মৃত মুজির সরদারের ছেলে মকবুল সরদার জানান, বুধবার বিকাল ৫টায় বাড়ির বসত ঘরের মেঝের নিচ থেকে একটি গোখরা সাপ বের হয়ে আসে। বাড়ির মালিক সাপটি লাঠি দিয়ে মেরে ফেলেন। বিষাক্ত সাপটি প্রায় দেড় ফুট লম্বা। পরে ঘরের মেঝের একটি ছোট ছিদ্র দিয়ে একে একে ১৯টি একই মাপের সাপ বের হয়ে আসে।

/এনআই/