মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকালে রাজশাহী মহানগরীর জিয়ানগর এলাকায় হাই-টেক পার্কের প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকালে অবকাঠামো নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক দৃশ্যমান হতে শুরু করলো। এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক। এরপর সেখানে ভরাটের কাজ চলে। এবার উদ্বোধন করা হলো সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ কাজের।
নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘হাই-টেক পার্কের নির্মাণ শেষে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ২০২১ সাল নাগাদ রাজশাহীকে বিশ্ব চিনবে এই হাই-টেক পার্কের মধ্যদিয়ে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর রাজশাহীতে এক জনসভায় রাজশাহীতে সিলিকন ভ্যালি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সিটি মেয়র থাকা অবস্থায় এটি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর গতবছরের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলেই এর অবকাঠামোগত নির্মাণ হবে। হাই-টেক পার্কের ভেতর ১০ তলা একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ৬২ হাজার বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আইটি ইনকুবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। সব কাজ শেষ হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। পদ্মাপাড়ের ৩১ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর এই পার্কটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
/এসএমএ/