চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতার




গ্রেফতারের প্রতীকী ছবিচাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জননী ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় নাহিদা খাতুন নামের এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগে সেখানকার চিকিৎসক মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ধরা হয়।

মেয়েকে হত্যার দায়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) নাচোল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নাহিদার বাবা নাসির উদ্দিন। মামলায় মাহফুজুর রহমানকে প্রধান আসামিসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাজী শামীম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ক্লিনিকটির অনুমোদন আছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহফুজুর রহমান হলেন নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার জগদীশপুর মৃধাপাড়া গ্রামের আবু বাক্কার সিদ্দিকের ছেলে। তিনি জননী ক্লিনিকে গত তিন মাস ধরে ডা. মাসুদ রানা পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন বলে জানান ওসি আনোয়ার। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘মাহফুজুর রহমান এইচএসসি পাস। ডা. মাসুদ রানা পরিচয়ে সে গত তিন বছর ধরে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন থানায় চিকিৎসা দিয়েছে। অথচ ডা. মাসুদ রানা বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন।’

ওসি আনোয়ার আরও বলেন, ‘নাচোলের জাহিদপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া নাহিদা খাতুন গত ১৭ জুলাই পেটের পীড়াজনিত কারণে জননী ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এ সময় ক্লিনিকে থাকা মাহফুজুর রহমান নিজেকে ডা. মাসুদ রানা পরিচয় দেয়। নাহিদার অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে জানিয়ে দ্রুত তার অস্ত্রোপ্রচার করাতে হবে বলে জানায় সে। মেয়েটির পরিবার অনুমতি দিলে অস্ত্রোপ্রচার করে মাহফুজুর রহমান। পরে বুধবার বিকালে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে প্রথমে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রোগীর স্বজনরা বুধবার রাতে জননী ক্লিনিক ঘেরাও করেন। ’

এরপর অভিযান চালিয়ে মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর জননী ক্লিনিক বন্ধ করে সংশ্লিষ্টরা সবাই পালিয়ে গেছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন ওসি আনোয়ার।

/এনআই/জেএইচ/