হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২-৩ টাকা

হিলিতে আমদানি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এদিকে, দেশের বেশ কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চাহিদা কমে যাওয়ায় ১৫ দিন আগের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে কমেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত রমজান মাসে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের ভালো সরবরাহ থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কম ছিল। এর ফলে সে সময় বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পেঁয়াজের ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় এবং পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম হওয়ায় বন্দর দিয়ে  প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মূলত ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) প্রকারভেদে ৯ থেকে ১১টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর কিছুটা ভালোমানের একই জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা থেকে সাড়ে ১২টাকা পর্যন্ত। দুসপ্তাহ আগে একই ধরনের পেঁয়াজ পাইকারি ১৪ টাকা থেকে ১৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ভারতের ইন্দোর থেকে কখনোই পেঁয়াজ রেলপথে পরিবহন হতো না। তবে বর্তমানে সরকারি ভর্তুকির পেঁয়াজগুলো রেলপথে ভারতের বালুরঘাট পর্যন্ত নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রাকে করে সেসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবহন খরচ কিছুটা কম হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম। তবে সড়কপথে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে সেগুলোর দাম একটু বেশি পড়ছে।

/টিএন/