১৫ বছর পর খুলনা ছাত্রলীগের সম্মেলন, পদ প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

১৫ বছর পর খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ জুলাই এ সম্মেলন হওয়ার কথা। এরই মধ্যে কমিটির পদ প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের তদবির, লবিং। কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় জন্য অনুসারীদের নেতৃত্বে আনতে সক্রিয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতারা।

২০০২ সালের ২৫ জুলাই খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। ১০ বছর পর ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত হয়। এরপর আরাফাত হোসেন পল্টুকে সভাপতি ও মুশফিকুর রহমান সাগরকে সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের ১৬ সদস্যর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময়ে ১২১ সদস্যর পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অথচ সাড়ে পাঁচ বছর পার হলেও কেন্দ্রীয় কমিটি দুই বছর মেয়াদী এ কমিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারেনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে,১৬ সদস্যর মেয়াদ উত্তীর্ণ বর্তমান কমিটির ১২ জনেরই ছাত্রলীগে থাকার বয়স শেষ। বাকি তিনজনের মধ্যে প্রচার সম্পাদক পারভেজ হাওলাদার বিবাহিত। সহ-সভাপতি সাইয়েদুজ্জামান সম্রাট খুলনার একটি পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। দফতর সম্পাদক তছলিম হোসেন তাজ নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে আগ্রহী। এমন পরিস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগে গতি ফিরিয়ে আনতে সম্পূর্ণ নতুন কর্মীদের দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন খুবই জরুরি বলে মনে করছেন ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,সম্মেলনে পদ পেতে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান জেলা সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান,আবুল কালাম আজাদ, এসএম সালাউদ্দিন,শেখ আবুল কালাম আজাদ (বিবাহিত),এসএম কামাল হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান সোহাগ (বিবাহিত), পলাশ মাহমুদ (বিবাহিত), পারভেজ হাওলাদার, সাংগঠনকি সম্পাদক মেহেদী হাসান রাজা (বিবাহিত), মেজবাহ মল্লিক প্যারিস, দফতর সম্পাদক তসলিম হোসাইন তাজ ও প্রচার সম্পাদক মারুফ হোসেন এবং নতুনদের মধ্যে মঈনুল ইসলাম নয়ন, মোল্লা হিজবুল্লাহ, আল আমিন ইসলাম, খান আবুল বাশার, শেখ মাসুদ রানা, রবিউল ইসলাম রবি, ফোরকান আহমেদ রনি, রিয়াজুল ইসলাম, ইমরান হোসেন জ্যাকি, মিরাজ হোসেন, মাসুদ রানা, রায়হান পাভেজ রনি, ইমরান হোসেন ইমু, এস কে সাদ্দাম, মৃণাল কান্তি বাছার, তরিকুল ইসলাম, মারুফ হোসেন, তানভির রহমান আকাশ প্রমুখ।

খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু হানিফ বলেন, ‘সক্রিয়, সৎ ও যোগ্য কর্মীদের দ্বারা একটি শক্তিশালী কমিটি প্রয়োজন। সব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে যারা দলকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হাল ধরে রয়েছেন অবশ্যই তাদের পদে আসা উচিত।’

বর্তমান কমিটির সভাপতি আরাফাত হোসেন পল্টু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সম্মেলনের দিন প্রস্তাব করা হয়। ওই সভায় দিনটি গ্রহণ ও চূড়ান্ত হয়। দীর্ঘদিন রাজপথে সক্রিয় আছে, ছাত্রত্ব আছে, ক্লিন ইমেজ আছে এবং সর্বদা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত এগিয়ে দেন এমন কর্মীদেরই নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসা উচিত।’

সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর বলেন, ‘আমরা চাই জেলা ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্বে আসুক। নতুনদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমরা বিদায় নিতে চাই। এজন্য একটি সফল সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।’

 /এসটি/