না.গঞ্জে পাঁচ খুন: আসামির সামনে তথ্য-উপাত্ত উত্থাপন

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে ভাগ্নের হাতে একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুনের ঘটনায় আসামি মাহফুজকে তথ্য-উপাত্তের সারসংক্ষেপ (৩৪২ ধারায় পরীক্ষা) পড়ে শুনিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বেগম হোসনে আরা আকতারের আদালতে ফৌজদারী কার্য বিধির ৩৪২ ধারায় এ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, ‘আসামিকে হত্যার অভিযোগ, আদালতে দেওয়া জবানবন্দী, ২৩ জন সাক্ষীর আদালতে দেওয়া সাক্ষ্য প্রমাণ, জেরা, ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারার অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের রায়ে তার মৃত্যু হতেও পারে বলে তাকে জানানো হয়েছে। সে এ বিষয়ে নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষী বা আদালতে কোনও কাগজপত্র দাখিল করবে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে আসামি আদালতে কোনও সাফাই সাক্ষী দেবে না বলে জানিয়েছেন। আদালত শুনানি শেষে আগামী ৩০ জুলাই পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকায় ‘আশেক আলী ভিলা’ নামের একটি বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে একই পরিবারের পাঁচজনকে নৃংশসভাবে গলা কেটে হত্যা করে ভাগ্নে মাহফুজ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাড়ির ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে তাদের লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- মাহফুজের মামার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৪০) তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ভাই মোরশেদুল (২৫) এবং তার জা লামিয়া (২৫)। এই ঘটনায় নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাগ্নে মাহফুজের বিরুদ্ধে মামালা করেন। ওইদিন রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে গ্রেফাতার করা হয়। ২১ জানুয়ারি আদালতে মাহফুজ হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্য বিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের মাহফুজকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এই মামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামি আদালতে সাক্ষ্য  দেন।

/এসএনএইচ/