গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। এই ছেলের কারণে তারা আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। গত সপ্তাহে তারা সিরাজগঞ্জ আদালতে নতুন করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিয়েটি মেনে নিতে পারেনি ভৈরব গ্রামের মুসল্লীরা। হাজী শাহ আলম গ্রামে ফতোয়া দেন— ‘স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে দিয়ে পরে আবার তার আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে’।
গ্রামের বিরু প্রামানিক, মজিবর প্রামানিক, নুর ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় রুমাকে গত বুধবার রাতে হিল্লা বিয়ে দেন। বিষয়টি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
দূর্গানগর ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দেশের আইন অমান্য করে কতিপয় ফতোয়াবাজ এই হিল্লা বিয়ে দিয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী হিল্লা বিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে তার আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হবে।’
এ বিষয়ে উল্লপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে হিল্লা বিয়ের কোনও অস্তিত্ব নেই।’
বিষয়টি নিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘চাপের মুখে তিনি হিল্লা বিয়েতে বাধ্য হয়েছি।’
/এসএমএ/