থানা সূত্রে জানা গেছে, ২৮ জুলাই নির্মল রায় প্রতিবেশী মিলটন কাজীর স্ত্রী লাবনীকে (২৫) তাদের বাড়িতে কাঁঠাল খাওয়ার কথা বলেন। এ ঘটনায় মিলটন ক্ষুদ্ধ হয়ে ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় নির্মলকে তাদের বাড়ির পাশে পেয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। নির্মলের স্ত্রী সুনিতা রায় জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিলটন কাজী ও তার সহযোগীরা তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর স্থানীয় বাজারে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয় নির্মল। এক পর্যায়ে ৩০ জুলাই রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৩১ জুলাই দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষ হয়। তবে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, নির্মল রায়ের শরীরের বাম উরুতে একটি কালো দাগের কথা সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করে পুলিশ। কিন্তু নির্মলের স্ত্রী সুনিতা জানিয়েছেন, লাশের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ ছিল। এ কারণে মামলার বাদী গণেশ রায় (নির্মলের ভাইপো) লাশ উত্তোলন করে পুনরায় সুরতহাল রিপোর্ট করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর ভিত্তিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকালে নির্মল রায়ের লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
/এনআই/