অক্টোবরে শুরু শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত আরেকটি ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ

04



মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জমান ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই লালখান বাজার থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত আরও একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আগামী অক্টোবর মাসে ফ্লাইওভারটির কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম।
শনিবার দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আব্দুচ ছালাম বলেন, ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। আগামী অক্টোবরে এই ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হবে। ফ্লাইওভারটি টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, কাস্টমস, ইপিজেড, কেইপিজেড এ পাঁচটি স্থানে বাস-স্টপ (বাস উঠা-নামার স্থান) থাকবে। যাতে সহজেই গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
এর আগে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে সুধী সমাবেশে লালখান বাজার থেকে এই রুটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ উদ্বোধনের সময় ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর ফ্লাইওভারের সম্ভাব্যতা যাছাই করে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানোর প্রস্তাব নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ফ্লাইওভারটি সম্পূর্ণ ফিজিবল একটি প্রকল্প। এখানে শহরের বিভিন্ন মোড়ে লুপ এবং র‌্যাম্প থাকবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীর শাহ আমানত সেতু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে আব্দুচ ছালাম নিমার্ণ কাজ শেষের দিকে থাকা নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখানা বাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারটি আগামী ডিসেম্বরে খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৮ সালের জুনে আখরুজ্জামান ফ্লাইওভার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। আমরা তার আগেই ফ্লাইওভারটি পুরোপুরি খুলে দিতে পারবো। দুই নম্বর গেইট ও বহদ্দারহাট মোড়ের ল্যুপের কাজ শেষ হওয়ার পর ডিসেম্বরে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, জিইসিতে চারটি র‌্যাম্প ও ল্যুপ হবে। ওইগুলোসহ পুরো ফ্লাইওভারের কাজ আগামী বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ জুন রমজানের ঈদের আগে ফ্লাইওভারটির পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি আবার বন্ধ করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের তিন মাস পর মার্চ মাসে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৬২ কোটি টাকা। পরে র‌্যাম্প ও লুপ যুক্ত হওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে হয় ৬৯৮ কোটি টাকা। তখন প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।

/এমএইচ