ধামরাইয়ে আ.লীগ নেতার পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ এমপি’র অনুসারীদের বিরুদ্ধে

ধামরাই

ধামরাইয়ে রেজওয়ান আহম্মেদ (৪৩) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার দুই পা ভেঙে দিয়েছে সাংসদের সমর্থকরা।  স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে (১৫ আগস্ট) ধামরাইয়ে যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।’ একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

আহত আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রেজওয়ান আহম্মেদ। ধামরাই এলাকার বর্তমান সাংসদ এমএ মালেক ও সাবেক এমপি বেনজীর আহম্মেদের সঙ্গে রেজওয়ান আহম্মেদের রাজনৈতিক কোন্দল চলছিল। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে রেজওয়ানকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায় সাংসদ এমএ মালেকের অনুসারীরা। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে দিপুসহ কয়েকজন ব্যক্তি রেজওয়ানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে তার দুই পা ভেঙ্গে দেয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের আপারেশন থিয়েটারের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাছিম জানান, রেজওয়ানের দুই পায়ে একাধিক কোপ ও জখম থাকায় ভেঙে দেওয়া পা জোড়া লাগানো অনিশ্চিত। তাকে আইসিইউ’তে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে ধামরাইয়ের সাবেক সাংসদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহম্মেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে তার সমর্থক ও আওয়ামীলীগ নেতার উপর হামলা চালিয়েছে বর্তমান সাংসদের অনুসারীরা।’

ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু বলেন, তার দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল এমপি মালেকের লোকজন। তবে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি।এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ধামরাইয়ের বর্তমান সাংসদ এমএ মালেকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

/এএইচ/