মোহনপুরে ৫ দিনেও মেরামত হয়নি বাঁধ, নতুন এলাকা প্লাবিত

বাঁধ মেরামতের কাজ চলছেরাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ভীমনগরে শিব নদীর বেড়ি বাঁধের ভাঙন পাঁচ দিনেও মেরামত হয়নি। এতে করে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও কেশরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, পাঁচ দিনের প্রবল স্রোতের তোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ধুরইল, ঘাসিগ্রাম, রায়ঘাটি ইউনিয়ন ও কেশরহাট পৌরসভার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এছাড়া জাহানাবাদ, মৌগাছি ও বাকশিমইল ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকা নতুনভাবে প্লাবিত হয়েছে।

মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন জানান, ভীমনগর বেড়ি বাঁধ ভেঙে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৬৬ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।  

মোহনপুর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ দিনে বন্যার পানিতে ধুরইল, ঘাসিগ্রাম ও মৌগাছি ইউনিয়নের ২৩টি পুকুর প্লাবিত হয়েছে।

পাঁচ দিনেও বাঁধ মেরামত সম্ভব হয়নি কেন জানতে চাইলে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বাঁধ মেরামতের পাইলিং কাজ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার বস্তা ফেলে বাঁধের ভাঙা স্থান বন্ধের চেষ্টা করা হবে। স্রোতের কারণে মেরামত কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে প্রযুক্তিসহ সব রকম প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা বাঁধ মেরামতের কাজ করে যাচ্ছি।’

মোহনপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করাসহ সব রকম কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এদিকে,স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আখতার জাহানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনও প্রকার ত্রাণ ও সহযোগিতা পাননি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট বিকালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধূরইল ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের তানোর সীমানা এলাকার শীব ও বারনই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে থাকায় হাজার হাজার বিঘা জমির ধান, সবজি ক্ষেত, পুকুর, পান বরজ তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে ভীমনগর, মেলান্দি, বেলনা, ঘাসিগ্রাম, বাজে দেওপুর, দেওপুর, মহিষকুন্ডি, ডাঙ্গা পাড়া, পালশা, গোয়ালপাড়া, আমরাইল ও শিবপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

/বিএল/

আরও পড়ুন:

‘মোর জন্যে একনা খাবারের ব্যবস্থা করি দ্যাও’