সরেজমিন দেখা গেছে খোলা আকাশের নিচে বাঁধের ওপর পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে ঝুপড়ি তুলে গবাদি পশু ও স্বজনদের নিয়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছেন তারা। যমুনা নদীর পানি গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটু একটু করে কমায় কিছুটা স্বস্তি আসলেও বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক এখনও কাটেনি বানভাসিদের।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পার পাঁচিল এলাকায় পাউবোর বাঁধে গেলে কথা হয় বাঁধে আশ্রয় নেওয়া দিনমজুর জহুরুলের সঙ্গে। গবাদি পশু আর স্বজনদের নিয়ে বাঁধে ঝুপড়ি তুলে থাকছেন তিনি। তিনি জানান, গবাদি পশুর জন্য খড় কেনার টাকা-পয়সা নেই। তাই অন্যের বাঁশ ঝাড় থেকে পাতা কেটে এনে খাওয়াচ্ছেন।
ঝর্ণা বলেন, ‘দাদা বাঁধের নিচ দিয়ে এত পানি চুয়ানো দেখে ভয়ই হয়। আতঙ্কে আছি আমরা। শুনতাছি পানি কইমতাছে। পানি নামলেই বাড়ি ফিরে যাবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সে. মি. কমলেও বিপদসীমার এখনও ১২৮ সে. মি. ওপরে রয়েছে। যমুনার পানি কমতে শুরু করায় নদী পাড়ের মানুষদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে, এখনও দুর্ভোগ কমেনি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘সদরের রানীগ্রাম থেকে কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ২৭ কি. মি. বাঁধের বিভিন্ন স্থানে সিপেজ হলেও তা মেরামত করা হয়েছে। বাঁধের সঙ্গে স্থানীয়রা ঘরবাড়ি তোলায় অসংখ্য ইঁদুরের গর্তের কারণে এসব সিপেজ দেখা দেয়। আর তাছাড়া একদিকে বালির বাঁধ, অন্যদিকে যমুনার পানির উচ্চতাও অনেক ছিল। পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সময়ও বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক থাকে।
/এনআই/
এ সংক্রান্ত আরও খবর:
বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন বানভাসিরা
এক এলাকার ত্রাণ অন্য এলাকায় বিতরণের অভিযোগ