অসামাজিক কাজের অভিযোগে আটক সহকর্মীকে ছাড়াতে বিজিবির হামলা, আহত ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার নয়নপুরে জনতাকে পিটিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক সহকর্মীকে ছাড়িয়ে নিলো বিজিবি। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন গ্রামবাসী আহত হন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নয়নপুর এলাকার মফিজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে এক নারী অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির গোয়েন্দা (এফএস) সদস্য মো. উবায়দুল্লাহ ওই বাড়িতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটকে মারধর করে। এ সময় এগিয়ে এলে বিজিবির আরেক সদস্য সিপাহী মোস্তাফিজও মারধরে আহত হন। খবর পেয়ে বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অবকাশ ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি দল ওই গ্রামে গিয়ে জনতাকে লাঠিপেটা করে উবায়দুল্লাহকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, ওই নারীর বিষয়ে পুলিশ সুপার ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসী মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে, এখানে কেউ এলে তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হবে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে দুজনকে আটক করা হয়। তারা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও মারামারি করে চলে যেতে চায়। এ সময় দু’পক্ষের লোকজনই আহত হয়। খবর পেয়ে একটি গাড়ি নিয়ে এসে বিজিবি জোয়ানরা এলাকার লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে দুজনকে ছাড়িয়ে নেয়। বিজিবির হামলায় পথচারীসহ এলাকার অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে এলাকাবাসীর দাবি। খবর পেয়ে পুলিশও সেখানে যায়।

তবে আহত বিজিবি সদস্য উবায়দুল্লাহ দাবি করেছেন, ইয়াবা উদ্ধার করতে তিনি ওই বাড়ির ঠিক সামনের একটি গ্যারেজে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন এসে তাকে মারধর করে। এ অবস্থায় তিনি সহকর্মীদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই মো. আফসার ও মো. হানিফ জানান, ওই বাড়িতে যে অসামাজিক কার্যকলাপ হয় সেটা সত্য। কিন্তু বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মাদক উদ্ধারের জন্য তাদের গোয়েন্দা সংস্থার লোক সেখানে যান। বিজিবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবকাশ ট্রানজিট ক্যাম্পের কর্মকর্তা মো. সাঈদ বলেন, ‘ইয়াবা উদ্ধার করতে গিয়ে উবায়দুল্লাসহ দুজন মারধরের শিকার হয়েছেন। বিজিবি সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’