বৃত্তি পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতির অভিযোগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কারাগারে

কারাগার

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার নম্বর জালিয়াতির অভিযোগে রাজশাহীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে গ্রেফতারকৃত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাবুবুর রহমান আবুল কাশেমের জামিন আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। রাজশাহী মহানগর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘জামিন আবেদন নাকচের পর আদালতের নির্দেশে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে মঙ্গলবার বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মামলার বাদী দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন, ‘রাজশাহী জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার থাকার সময় ২০১৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় নিজ কন্যা নিশাত নওরিন ইশাসহ ৪০ জন শিক্ষার্থীর নম্বর বাড়িয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বৃত্তি দিয়েছেন আবুল কাশেম। সেসময় বিষয়টি পত্রিকায় আসে। আরও অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা খুঁজে পায়। এরপর সোমবার সকালে মামলা দায়ের করা হয়।’

তিনি আরও জানান, বিভাগীয় মামলায় আবুল কাশেম বেশ কিছুদিন বরখাস্ত ছিলেন। গত ৮ আগস্ট তিনি আবারও চাকরি ফিরে পান। এরপর তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সংযুক্তিতে কর্মরত ছিলেন।

গোদাগাড়ী উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমের আটকের খবর পেয়ে দুদকের এই মামলায় আরেক আসামি গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাখি চক্রবর্তি তিন দিনের ছুটি নিয়ে আত্মগোপন করেছেন। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে রাজশাহী পুলিশ লাইনের সামনে থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে আটক করে দুদক। পরে তাকে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করা করা হয়।