যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক বোসসহ তিনজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও অশোকসহ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে যুবলীগের দু’টি ইউনিট এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। দলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে উদ্দেশ করে সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘যদি আমাদের কোনও কর্মীর ওপর হামলা করেন, চোখ রাঙিয়ে কথা বলেন- তাহলে যশোরের শান্তিপ্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।’
নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আজমল হুদার অপসারণ দাবি করেন। তারা আরও বলেন, যশোরের প্রবেশমুখের সব রাস্তাঘাটের অবস্থা সুন্দর। কিন্তু শহরে ঢোকার পর রাস্তা খানাখন্দে ভরা। এইসব কাজের টেন্ডার আপনারা দুই ভাই (শাহীন চাকলাদার ও রেন্টু চাকলাদার) ছিনিয়ে নিয়ে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করিয়েছেন। আপনাদের রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী, মাদক সিন্ডিকেট। আপনারাই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।’
নেতারা এই সহিংসতার পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘আমাদের দুর্বল ভাবার অবকাশ নেই। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আপনার গোটা কয় সন্ত্রাসীকে উৎখাত করার মতো শক্তি আমাদের আছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সুখেন মজুমদার, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেন টগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু, যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন মুকুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, পৌর কাউন্সিলর আজিজুল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শহিদ, ওলামা লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম, টিপু সুলতান, মনিরুজ্জামান, ইব্রাহিম হোসেন সোহাগ, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।