পঞ্চগড়ে শিশু আশামনি হত্যা মামলায় দুই আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

পঞ্চগড়পঞ্চগড়ের চাঞ্চল্যকর শিশু আশামনি হত্যার সন্দেহভাজন ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) গভীর রাতে জেলা শহরের তুলাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো, ওই এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার ছেলে সাজু এবং একই এলাকার সেকান্দার আলীর স্ত্রী জাহেরা খাতুন।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমলি আদালত-১ এর জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাজুকে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া, অন্য আসামি জাহেরা খাতুনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পঞ্চগড় সদর থানার এসআই  জাকারিয়া হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে তুলারডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাড়িতে খেলাধুলার এক পর্যায়ে নিখোঁজ হয় আশরাফুল ইসলামের চার বছরের কন্যা আশামনি। পরদিন প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের ঘরের পেছন থেকে ওই শিশুর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই  এলাকার এক শ্রেণির মানুষ ঘটনাটিকে জিনের কাণ্ড বলে প্রচার করে। এ ঘটনায় গত ১৭ মে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়।

ঘটনার প্রায় ৩ মাস পর ওই শিশুর বাবা আশরাফুল ইসলাম এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাজুসহ ৫ জনকে সন্দেহভাজন আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সম্প্রতি ওই শিশুর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শিশুটিতে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাজু ও জাহেরা খাতুনকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাকারিয়া হোসেন জানান, শিশুটির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে হত্যার কথা বলা হয়েছে। আমরা সন্দেহভাজন এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও তার ছেলে সাজুকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি রবিউল হাসান সরকার জানান, শিশু আশামনি হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৩ জন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। তাদের মধ্যে দুজনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।