‘পাকিস্তান বাংলাদেশের রেফারেন্স হতে পারে না’

রাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ (ছবি-প্রতিনিধি)

আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য, সমন্বয় এবং সহযোগিতা থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান কখনও বাংলাদেশের রেফারেন্স হতে পারে না। পাকিস্তানের রেফারেন্স জাতিকে অপমান করার শামিল। দেশের আদর্শকে সমুন্নত রেখে নিজ নিজ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনের সামনে ‘ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। এর আগে একটি শোভাযাত্রা সিনেট ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়।

অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘একটি দেশের তিনটি প্রধান অঙ্গ হলো- আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। এই তিন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য, সমন্বয় এবং সহযোগিতা থাকা দরকার।’

সভায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘এই দেশ স্বাধীন না হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারতাম না; বিচারপতি বা প্রধান বিচারপতি হতেও পারতাম না। আর আজ সেই প্রধান বিচারপতির মুখ থেকে যদি এরকম কথা আসে যে, একক নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়নি। এর চেয়ে দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক আর কী শোনার থাকে আমাদের!’

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে কয়েকশ’ মানুষ আহত হন। সেসময় রাবি থেকে আট শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৪ আগস্ট রাবিতে ‘ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন’ দিবস পালন করা হয়।