ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া দুই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন— ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার খারুয়া মুকুন্দ এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে কামরুজ্জামান ও কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ গ্রামের মৃত আব্দুল অহিদের ছেলে জামাল উদ্দিন।
কামরুজ্জামান জানান, তিনি পেনশনের এককালীন ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শ্রীপুর শাখা সোনালী ব্যাংক থেকে ৪০ লাখ টাকা একই ব্যাংকের গফরগাঁও শাখায় নিজের আরেকটি হিসাবে ট্রান্সফার করেন তিনি। বাকি ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নগদ তুলে নিয়ে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী জামাল উদ্দিন। তিনি ব্যাংক থেকে পেনশনের মাসিক ১৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। টাকা তোলার পর দু’জন একসঙ্গেই বের হন ব্যাংক থেকে। পরে তারা গ্যাসচালিত অটোরিকশায় চড়ে শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ির পথে রওনা হন।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘অটোরিকশাটি বরমী সড়কের গাড়ারন এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে আমাদের সিএনজির গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে সাদা পোশাকে চার জন লোক নেমে এসে নিজেদের র্যা ব পরিচয় দেয়। তারা আমাদের মারধরের ভয় দেখায়। আমাদের অটোরিকশায় অন্য যাত্রীরা থাকলেও তারা ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন। পরে র্যা ব পরিচয় দেওয়া ওই চার জন আমাদের জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে। তারা আমাদের সঙ্গে থাকা সব টাকা-পয়সা, মোবাইল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।’ পরে শ্রীপুর-রাজাবাড়ী সড়কের ডোয়াইবাড়ী এলাকার একটি গভীর শালবনের ভেতর তাদের দু’জনকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
শ্রীপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘র্যা ব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। একজন এসআইকে এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’