হাকিমপুরে বন্যায় ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হামিকপুরের কিছু এলাকা এখনও পানির নিচে, ছবি প্রতিনিধিবন্যায় দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমের রোপাআমন ধান, মাছ, কাঁচা বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১২ কোটি ৬৮ লাখ আটাশি হাজার ৪শ’ টাকা। হাকিমপুর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. সজীবুল করিম এ তথ্য জানান।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, হাকিমপুর উপজেলার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ শহরাঞ্চল ও ২৫ শতাংশ গ্রামাঞ্চলসহ মোট ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এলাকা চার থেকে পাঁচ দিন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে নিজ বাড়িতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন তিন হাজার মানুষ। আর অস্থায়ী শিবিরে ১৭০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। বন্যার কারণে উপজেলার ৪০টি কাঁচা বাড়ি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,আর ২শ’টি কাঁচা বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় উপজেলার ১৮৫ হেক্টর জমির রোপাআমন পানিতে তলিয়ে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে এবং ২০ হেক্টর জমির ধান আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ৭৬ দশমিক শূন্য চার হেক্টর পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যায় একটি মসজিদের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে এক দশমিক ৮৮ কিলোমিটার পাঁকা সড়ক, ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ কাঁচা সড়কসহ মোট ১২ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যায় দুইটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৎস্য আহরণ উপকরণ ১২০টি জাল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে হাকিমপুর উপজেলায় এ বছর বন্যায় ১২ কোটি ৬৮ লাখ আটাশি হাজার ৪শ’ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।  

হাকিমপুর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. সজীবুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণের ২০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। কিছু ঢেউটিন এসেছে, আমরা তালিকা প্রস্তুত করছি, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে।