কুড়িগ্রামে কৃষি প্রণোদনা পাবেন ২৪ হাজার কৃষক

কুড়িগ্রাম

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রবি ও খরিপ মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার ২৪ হাজার ৬শ’ ৯৯ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ ও রাসায়নিক সার সহায়তা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল কুমার দে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, খামার বাড়ী সূত্রে জানা গেছে, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ছয় হাজার কৃষককে গম, ছয় হাজার কৃষককে ভুট্টা, সাত হাজার ৫শ’ কৃষককে চিনাবাদাম, ৭শ’ ৫০ কৃষককে গ্রীষ্মকালীন তিল, ৭শ’ কৃষককে গ্রীষ্মকালীন মুগ, সাড়ে তিন হাজার কৃষককে মাসকলাই, ২৮ জন কৃষককে বিটি বেগুন চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে চাষের জন্য বীজ, ডিএপিও ও এমওপি রাসায়নিক সার পাবেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল কুমার দে বলেন, ‘প্রণোদনা কর্মসূচির চিঠি পাওয়া গেছে। উপজেলা পর্যায়ে কত জন করে কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হবে তা বিভাজন করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ফসল রোপণের পর্যায়ক্রম অনুসারে প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হতে পারে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, খামার বাড়ীর উপ-পরিচালক মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাতশ’ কৃষককে রোপা-আমনের চারা এবং ৮০ জন কৃষককে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী রবি মৌসুমে কৃষকদের কাছে আগাম ভুট্টা, আলু ও চিনা বাদামসহ বিভিন্ন শস্যের বীজ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ প্রণোদনা কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, খামার বাড়ীর তথ্যানুযায়ী, এবারের বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৪ হাজার ৯শ’ ২৭ হেক্টর জমির রোপা-আমনের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।’