দশালিয়া গ্রামের আকরাম আলী, কামাল গাজী, ছহিল উদ্দীন মোড়ল জানান, নদী ভাঙনের ফলে অনেকে নিঃস্ব হয়েছেন। এখন তারাও নিঃস্ব হওয়ার পথে। দুই কিলোমিটার বাঁধ পরিকল্পিতভাবে রক্ষার দাবি জানান তারা।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, পূর্ণিমায় জোয়ারের প্রভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নিচু স্থান উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাধ উঁচু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না। বাঁধের কয়েক স্থান ধসে গেছে। ফলে তা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থার কারণে বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কায় অধিকাংশ পরিবার মালামাল নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম কবি শামছুর রহমান জানান, হঠাৎ মেদের চর এলাকার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধের অধিকাংশ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা না হলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘এ এলাকার বড় সমস্যা নদী ভাঙন। বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে ইউনিয়নের মানুষকে প্রায়ই পানিতে ডুবতে হয়।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক জানান, ‘বরাদ্দ না থাকায় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংস্কার না হলে বাঁধ ভেঙে দশালিয়া ও মেদেরচর গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম লোনা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘কয়রার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। তাই পরিকল্পনা মাফিক বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।’