ফেনীতে টাস্কফোর্সের অভিযানের পরও কমছে না চালের দাম

চাল আনলোড করছেন শ্রমিকরাফেনীতে টাস্কফোর্সের অভিযানের পরও কমছে না চালের দাম। বরং ব্যবসায়ীরা দাম আরও বাড়িয়ে চাল বিক্রি করছেন।  এমন অভিযোগ করেছেন খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ফেনীর বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহখানেক আগে ফেনী শহরের চালের মোকাম ইসলামপুর রোড ও তাকিয়া রোড এলাকার বাজারে চালের দাম ২শ টাকা থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফেনীর বাজারগুলোতে টাস্কফোর্স অভিযান চালায়।

ফেনীতে চাল মজুদদারির সঙ্গে কোনও ব্যবসায়ী জড়িত নেই দাবি করে চাল আড়তদার হাজি ওবায়দুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোকাম থেকে বেশি দামে চাল ক্রয়ের কারণে, চালের দাম সময় সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জেলা শাখার সভাপতি আক্রামুজ্জামান বলেন, ‘মোকামে দাম বেশির অজুহাত দেখিয়ে কতিপয় মজুদদার চালর দাম বৃদ্ধি করছে বলে ক্রেতারা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।  আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম বলেন, ‘মিল থেকে কেনা মূল্যের বিপরীতে তিন টাকা মুনাফায় বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মজুদকৃত চালের অতিরিক্ত দাম রাখা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দেশনা অমান্য করে কোনও আড়াতদার চাল বিক্রি করছেন—এমন কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

ইসলামপুর রোড ও তাকিয়া রোড চাল আড়তদারদের সূত্র জানায়, নাজিরশাইল ৩ হাজার ৩শ, মিনিকেট ৩ হাজার, সোনার মুকুট ২ হাজার ৯শ ৫০, বিশ্বাস ২ হাজার ৯শ ৮০, স্বর্ণা ২ হাজার ৫শ ৫০ থেকে ২ হাজার ৬শ ৫০, শাপলা ২ হাজার ৫শ ৫০, বসাকপারি ২ হাজার ৪শ ৫০, সোনালী ২ হাজার ৫শ ৫০, পারি ২ হাজার ৫শ, পাইজাম ২ হাজার ৪শ, হাইব্রিড ২ হাজার ২শ ৫০, মোটা আতপ ১ হাজার ৮শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন:
ফেনীতে আট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা
গাজীপুরে সাত চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা