রংপুর বিভাগীয় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট রথিন চন্দ্র ভৌমিক ও জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার জেলায় ৮৩৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।’ জেলা শহরের হাড়োয়া দেবির ডাঙ্গা মন্দিরের সভাপতি নরেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবারের পূজা জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করা হবে। এ ব্যাপারে সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।’
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বছর শারদীয় দুর্গা পূজায় সরকারের পক্ষ থেকে ৪১৮ মেট্রিক টন চাল (জিআর) বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডোমারে ৪৬ দশমিক ৫ মেট্রিক টন, ডিমলায় ৩৮ দশমিক ৫ মেট্রিক টন, জলঢাকায় ৮২ মেট্রিক টন, কিশোরগঞ্জে ৭২ মেট্রিক টন, সৈয়দপুরে ৪০ মেট্রিক টন, নীলফামারী সদরে ১৩৯ মেট্রিক টন। দ্রুত এসব বরাদ্দ বণ্টন করা হবে।’ এদিকে, নীলফামারী পৌরসভার হাড়োয়া মহল্লার দেবির ডাঙ্গা মন্দির, মিলন পল্লী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, শিব মন্দির, বড় বাজার হাড়োয়া পূজামণ্ডপ, কালীতলা পূজামণ্ডপ, ডাইল পট্টি পূজামণ্ডপ, সদরের বাহালী পাড়া জমিদার বাড়ি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উৎযাপনের লক্ষ্যে জেলায় এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যলায় থেকে থানা পর্যায়ে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খাঁন বলেন, ‘এ বছর হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’