আমাদের পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুস্থদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গীসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে পাবনা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো এসব সামগ্রী বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে পূজা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাফিউল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সালমা খাতুন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মাহবুব হাসান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাদল ঘোষ প্রমুখ।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ৩৯টি মন্দিরের প্রত্যেকটির জন্য সরকারের দেওয়া ১৪ হাজার টাকা এবং এমপির ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫ হাজার করে অনুদানের টাকা বিতরণ করা হয়। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পলাশ উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই অনুদান বিতরণ করেন।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মতিউর রহমান, পলাশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কার্তিক চন্দ্র গুহ, সাধারণ সম্পাদক অসিত নন্দি, ইউপি চেয়ারম্যান সাবেরুল হাই, কামরুল ইসলাম গাজী, মোফাজ্জল হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল হক টিপু প্রমুখ। এর আগে প্রধান অতিথি পলাশ উপজেলার ৩১ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে উপজেলা রাজস্ব তহবিল থেকে প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
এ বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৫৩ টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা সদরে ৭৮ টি, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৩৬টি, নকলায় ১৬টি, ঝিনাইগাতীতে ১৫ টি ও শ্রীবরদীতে ৮টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত পূজা হচ্ছে।
দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা ও সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইতোমধ্যে পূজা কমিটির সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূর্বের ন্যায় এবারও নিরাপদে পূজার উৎসব পালিত হবে বলে আশা করছে জেলা পুলিশ।
শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কানু চন্দ জানান, এবার দুর্গা পূজা উপলক্ষে জেলায় ১ হাজার ২শ’ জন দুস্থ হিন্দু ধর্মাবলম্বীর মাঝে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
মাগুরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাগুরার ছয় শতাধিক মণ্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা এখন শেষ মুহুর্তের রং তুলির আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মাগুরা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার মণ্ডপগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত আয়োজকরা। এবারের পূজা উৎসব মুখর পরিবেশে কোন ধরনের অশুভ ঘটনা ছাড়াই পালন করতে পারবে বলে তারা আশাবাদী।
শহরের থানাপাড়া পূজা কমিটির সভাপতি রতন মিত্র বলেন, ‘আমরা শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। এবারের পূজা আমরা নির্ভয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতে পারব বলে অশাবাদী।
ছানা বাবুর বটতলায় প্রতিমা শিল্পী সুবোধ কুমার বিশ্বাস জানান, তিনি ৪২ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন। এবার তিনি ৩৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা মজুরীতে পাঁচটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করছেন। এ কাজে তার সঙ্গে সাত জন কর্মচারী রযেছে। শেষ সময়ে এসে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত ছুটছেন এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে।
নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ চিন্ময়ানন্দ মহারাজ চঞ্চল বলেন, ‘এবার নৌকায় করে মা দুর্গার মর্তে আগমন ঘটবে। যাবেন দোলায় চড়ে।’
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার সিংহ জানান, এবার মাগুরা জেলায় ৬২৬টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন,ইতোমধ্যে জেলার সব পূজা মণ্ডপের প্রতিমার রং তুলিসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।এতে করে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। এবার দুর্গাদেবী আসবে নৌকা চড়ে, যাবে ঘটকে চড়ে।
এবার সাতক্ষীরা জেলার ৭ টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নের ৫৬৪ টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০৬ টি মণ্ডপকে। গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৩৭ টি মণ্ডপকে। বাকি ৩২১ টি মণ্ডপে কোনও ঝুঁকি নেই।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনিরা আক্তার বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ, আনছার, স্থানীয় পূজা কমিটি, স্বেচ্ছসেবক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ভ্রাম্যমাণ পুলিশ টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।’