ফরিদপুরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

ফরিদপুর

ফরিদপুর শহরতলীতে সোলাইমান মিয়া শিমুল (২৫) নামে এক কলেজছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে শহরতলীর অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর এলাকার স্লুইজ গেট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিমুল মারা যায়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিমউদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত শিমুল শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার ইছাহাক মিয়ার ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শোভারামপুর এলাকার স্লুইজ গেট বাজারে ক্যারাম খেলছিল শিমুল। এসময় তাকে ধরে নিয়ে যায় কয়েক জন ব্যক্তি। এরপর দুর্বৃত্তরা বাজারের পার্শ্ববর্তী স্থানে নিয়ে শিমুলকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিমুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার ভোর ৬টার দিকে সে মারা যায়।

নিহত শিমুলের চাচাতো ভাই রইস মিয়া জানান, শিমুল তার এক বন্ধুর সঙ্গে শোভারামপুর এলাকায় গেলে খোকন নামের এক ব্যক্তি তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে খোকন ও তার সহযোগীরা শিমুলকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে শিমুলের পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়।

রইস মিয়া বলেন, ‘আমার ভাতিজা শিমুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাকে বলেছে, শোভারামপুর এলাকার হাবিবুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, শেখ কবিরউদ্দিন, শেখ খবিরউদ্দিন, ইসলাম, মিলন, শিমুল শেখসহ আরও কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে।’

পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত কয়েক দিন আগে শোভারামপুর এলাকার কিছু ছেলের সঙ্গে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কয়েকজন ছেলের মারামারির ঘটনা ঘটে। সেসময় পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কয়েকজন ছেলে মিলে শোভারামপুর এলাকার একটি ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার জের ধরে শিমুলকে হাতুরি দিয়ে পেটানো হয়।

ওসি নাজিমউদ্দিন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনও মামলা হয়নি।