শেরপুরে হত্যা মামলায় একই পরিবারের তিন জনের যাবজ্জীবন

আদালত

শেরপুরে রাসেল হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দায়রা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের ভারপ্রাপ্ত আইনজীবী (পিপি) নরেশ চন্দ্র দে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দণ্ডিতরা হলেন, শ্রীবরদী উপজেলার রুপারপাড়া গ্রামের মৃত রমেজ উদ্দিনের ছেলে  ইমান আলী (৫০), তার ছোট ভাই হোসাইন মিয়া (৪৪) ও হোসাইনের স্ত্রী আজেদা খাতুন (৩৮)।

নরেশ চন্দ্র দে জানান, একই পরিবারের দিন জনকে যাবজ্জীবন দেওয়ার পাশপাশি এ মামলার অন্য দুই আসামিকে আদালত ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন। এছাড়া আরও এক আসামিকে একবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অবশিষ্ট পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

১০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন শ্রীবরদী উপজেলার রুপারপাড়া গ্রামের ফরহাদ আলীর ছেলে এমরান (৩০) ও হাবিবুল্লাহ (৬৫)। আর একবছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন একই এলাকার জমর উদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস (৪০)।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল বিকালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শ্রীবরদীর রুপারপাড়া গ্রামের ইমান আলী ও তার লোকজন স্থানীয় কৃষক মফিল উদ্দিনের বসতবাড়িতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে মফিল উদ্দিন, তার ছেলে রাসেল মিয়া ও মেয়ে নূরজাহান গুরুতর আহত হন। ওইদিনই মফিল উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইমান আলীসহ ১১ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দুই দিন পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল মিয়া মারা যান। পরে একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন তরফদার ১১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। বাদী, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় দেন ।

সূত্র আরও জানায়, মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান আকন্দ পরিচালনা করেন।