মন্ত্রীর ঘোষণার পরও চালু হয়নি চিলাহাটি স্থলবন্দর

নীলফামারীনৌ-পরিবহনমন্ত্রীর ঘোষণার পরও চালু হয়নি নীলফামারী চিলাহাটি স্থলবন্দরটি। ২০১১ সালের ১৩ জুন পরিদর্শনে এসে চিলাহাটি শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করার ঘোষণা দেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান। কিন্তু এরপরও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

জানা গেছে, পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে নীলফামারী ডোমারের চিলাহাটি স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সংস্কারের ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। বন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়বে, উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন কারখানায় বিনিয়োগ বাড়বে, জেলার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে এবং হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জেলার ডোমার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু হলে পণ্য পরিবহন খরচ ও সময় কমবে। ফলে আমদানীকারক ও সরকার দু’পক্ষই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। অন্যদিকে নতুন আমদানিকারক ও শিল্প উদ্যোক্তারা কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসবেন।’

জানা গেছে, ব্রিটিশরা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ও নীলকরদের নীল চাষের নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তনায়নের জন্য ১৯৩৭ সালে জেলার ডোমারে চিলাহাটি স্থলবন্দর স্থাপন করে। ওই সময় উত্তরাঞ্চলের মানুষ চিলহাটি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন ও পাকিস্তানে যাতায়ত করত। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় ভারত সরকার স্থলবন্দরটি বন্ধ করে দেয়। এরপর ১৯৬৫ সালে স্থলবন্দরটি আরেকবার চালু করা হলেও ১৯৮২ সালে ভারত সরকার পুনরায় স্থলবন্দরটি বন্ধ করে দেয়।

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত যাতায়তের জন্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। ফলে চিলাহাটি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন চালু হয়। কিন্তু কিছুদিন পর এটাও বন্ধ হয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহজভাবে যাতায়তের জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিলাহাটি স্থলবন্দর পুনরায় চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

ডোমার প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোজাফফর আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নৌ-পরিবহনমন্ত্রী স্থলবন্দর চালুর ঘোষণা দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ফরে আমরা হতাশ হয়েছি। তাই দ্রুত স্থলবন্দরটি চালু করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’

 আরও পড়ুন:
কর্মকর্তারা পান উপহার, টাকার বিনিময়ে মেলে ইলিশ শিকারের অনুমতি!