মানিকগঞ্জে কবর থেকে কৃষকের মরদেহ উত্তোলন

 

মানিকগঞ্জজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারা যাওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাস পর কবর থেকে এক কৃষকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। তার নাম বারেক মিয়া।  সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশের সহায়তায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে পুলিশ। 

বারেক মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের জাগির দিঘুলিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন জানান, বাবা আব্দুর রশিদের সঙ্গে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল বারেকের। সংসার জীবনে বারেক দুই কন্যা সন্তানের জনক থাকায় তাকে পৈত্রিক ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে কথিত ছিল।  এরপর চলতি বছরের ৩ জুলাই ধানক্ষেতের পাশের একটি মেশিন ঘরে বারেকের মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা।  পরে সামাজিকভাবে মীমাংসা করে ওই মরদেহটি দাফন করা হয়। তখন আব্দুর রশিদ তার ছেলে বারেকের প্রাপ্য ৭২ শতাংশ জমি ছেলের বউ সেলিনা বেগমকে দলিল করে দিয়ে দেন।

এসআই আনোয়ার হোসেন ও ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন জানান, এর কিছু দিন পর জোরপূর্বক ৭২ শতাংশ জমি চক্রান্ত করে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জমিগুলোর দলিল বাতিলের মামলা করেন আব্দুর রশিদ। এরপর শ্বশুরের দায়ের করা জমির দলিল বাতিল মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজ কোর্ট থেকে বারেকের স্ত্রী সেলিনা বেগমের কাছে যায়।  এরপর  সেলিনা বেগম তার স্বামী বারেক মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করেন।