অবৈধ ইলিশ শিকারিদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তা আহত

মানিকগঞ্জযমুনা নদীতে ইলিশ মাছ শিকারিদের ধরতে গিয়ে তাদের হামলায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান আহত হয়েছেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটে দৌলতপুর উপজেলার বাচাঁমারা ইউনিয়নের বাকসাইট্ট্রা এলাকায় যমুনা নদীতে। মোকলেসুর রহমানকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দৌলতপুর থানার ওসি বলছেন, তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নূরতাজুল হক জানান, যমুনা নদীতে অবৈধ মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযানে যান সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান, দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার এবং চার জন অফিস সহকারী। সঙ্গে ছিলেন একজন এসআইসহ চার জন পুলিশ সদস্য। সামনের ট্রলারে ছিলেন মোকলেসুর রহমান ও মৎস্য বিভাগের চারজন। পেছনের ট্রলারে ছিল তাসলিমা আক্তারসহ পুলিশ সদস্যরা।

বাকসাইট্টা এলাকায় অবৈধভাবে ইলিশ মাছ ধরতে দেখে মোকলেসুর রহমানের ট্রলার জেলেদের ট্রলারকে ধাওয়া করে। মাছ শিকারিরা একটি চরের কাশবনের ভেতর ঢুকে পড়ে। মোকলেসুর রহমানসহ মৎস্য বিভাগের লোকজন চরে নেমে এগিয়ে গেলে অস্ত্রসহ ৩০/৪০ জন লোক তাদের ধাওয়া দেয়। পিছিয়ে আসার সময় মোকলেসুর রহমান তার পায়ে হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাত পান। এসময় পুলিশ বহনকারী অন্য ট্রলারটি এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

নূরতাজুল হক বলেন, এর আগে বিভিন্ন সময় অভিযানে অবৈধ ইলিশ শিকারিদের আটক করে জেল, জরিমানা, জাল পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে এরা আগে থেকেই হামলার পরিকল্পনা করে রেখেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তবে দৌলতপুর থানার ওসি রকিবুজ্জামান ঘটনা অস্বীকার করে জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যরা এ ধরনের কোনও রিপোর্ট তাকে দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।