বালু উত্তোলন: ফসলি জমি ও রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন

 

অবাধে বালু উত্তোলনবগুড়ার গাবতলীর দড়িপাড়া গ্রামে সুখদহ নদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আশপাশের ফসলি জমি ও রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট গর্তে পড়ে আবদুস সাত্তার (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় আবদুল লতিফ মেম্বর, আলেফ উদ্দিন ও বুদাসহ কয়েকজন প্রভাবশালী দীর্ঘদিন ধরে দড়িপাড়ায় সুখদহ নদী, সোনামুয়া, ডঙর, সুখানপুকুর ও কাঁকড়ার বিলসহ বিভিন্ন স্থানে অধৈভাবে বালু উত্তোলন করছে। বালু বিক্রি করে তারা লাভবান হলেও ইজারা না থাকায় সরকার কোনও রাজস্ব পাচ্ছেনা। অন্যদিকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর আশপাশে ফসলি জমি ও রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। বালু পরিবহনের ট্রাক অবাধে চলাচল করায় কাঁচা-পাকা রাস্তা ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের বিভিন্ন দফতরে নালিশ করলেও প্রভাবশালীদের দৌরাত্ন্য কমেনি। অভিযোগ রয়েছে, এরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয়না।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পশ্চিম দড়িপাড়া গ্রামের মৃত মাওলানা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আবদুস সাত্তার গত ১২ অক্টোবর গ্রামে বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট গর্তে পড়ে মারা যান। পরদিন তার লাশ ভেসে উঠে। তিনি গরু চরানোর জন্য যাচ্ছিলেন। প্রভাবশালীদের তৎপরতায় দ্রুত লাশ দাফন করা হয়েছে। আবদুস সাত্তারের পরিবারও এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বালু উত্তোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা নদী বা অপরের জমি থেকে নয়; নিজেদের জমি থেকে বালু তুলে থাকেন। আর বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট কোনও গর্তে পড়ে কারও মারা যাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।

গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের জানান, এ উপজেলায় কোনও বালু মহাল নেই। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।