গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে: চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন গৃহকর নিয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে দাবি করে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এসব মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির অবসান চেয়েছেন। রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে তিনি গৃহকর নিয়ে চলমান মিথ্যাচারের অবসান চান।

বিবৃতিতে মেয়র বলেন, ‘দলীয় সভাপতির বাসভবনে সম্প্রতি কয়েকটি বৈঠক এবং ২০ অক্টোবরের সভার বিষয়ে আমি অবহিত নই। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। ওই সভায় পৌরকর নিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রত করা হচ্ছে মর্মে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা কোনও ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক  ও কার্যকরি কমিটির অনেককে অবহিত না করে সভায় যেসব আলোচনা করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিমূলক ও সঠিক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পর্কে ইতোপূর্বে আমি বিভিন্ন সংবাদ ও সভার মাধ্যমে মেয়র হিসেবে আমার অবস্থান তুলে ধরেছি। এ বিষয়ে সাবেক মেয়র নিশ্চয়ই অবহিত আছেন। সিটি কর্পোরেশন রাষ্ট্রের বিধিবদ্ধ আইন দ্বারা পরিচালিত এবং সরকার সিটি কর্পোরেশনের সামগ্রিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন। প্রতি পাঁচ বছর পর পর হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন করার আইনি বিধানের  আলোকে বর্তমানের হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে।’

আ জ ম নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘মেয়র সরকারের অংশ ও প্রতিষ্ঠান।  যিনি মেয়র তাকে আইনি কাঠামোর মধ্যে চলতে হয় এবং তার মধ্যেই উন্নয়ন ও জনসেবা পরিচালনা করতে হয়, কথাটা বার বার আমি বোঝাতে চেষ্টা করেছি। পৌরকর নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে অথচ আজ পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পাইনি।’

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ১৭ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি একজন প্রবীণ নেতা। এক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতার আলোকে কোনও পরামর্শ থাকলে, চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে তা আমার সঙ্গে আলোচনা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আইনি কাঠামোর মধ্যে অবশ্যই আমি পরিকল্পিত নগরায়নে ও জনস্বার্থে তার পরামর্শকে প্রাধান্য দেবো।’