বৃষ্টি হলেই নদী হয়ে যায় গৌরনদী

প্রাণিসম্পদ অফিসের জলাবদ্ধতা

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে, তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর সদরের অধিকাংশ এলাকাতেই উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু হয়নি এখনও। একারণে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

গত শুক্র ও শনিবার টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে পৌর সদরের উত্তর বিজয়পুর, দক্ষিণ বিজয়পুর, তিকাসার, বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। টরকী বন্দরের ছাগল হাটের রাস্তা ও হরগোবিন্দ সাধুর আশ্রমে প্রবেশের সড়ক ডুবে গেছে। আল-হেলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ, ভিক্টোরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকের প্রায় আধা বর্গ কিলোমিটার এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে টরকী বন্দর ভিক্টোরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান খান বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছি। বেশি বৃষ্টি হলে স্কুল মাঠে হাঁটু পানি জমে। কোন কোন সময় ক্লাসেও পানি ঢুকে যায়।’  

স্থানীয়রা জানান, টরকী বন্দরের পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত সাউদের খালটি ভরাট করে প্রভাবশালীরা দোকানপাট নির্মাণ করার কারণে ছাগল হাটসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (২২ অক্টোবর) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর ভবনের পাশে চরগাধাতলী এলাকায় কর্মকার পাড়া, শাখারী পাড়া, ব্যাংকার পাড়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। পৌর ভবন সংলগ্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ  কার্যালয়ের সামনে হাঁটু পানি জমেছে।

পৌর সদরের চরগাধাতলী এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব নুরুল হুদা জানান, পৌর ভবন থেকে মাত্র তিনশ হাত দুরে আমার বাসা কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে আমরা সীমাহীন দুর্ভোগে পোহাচ্ছি। কিন্তু আমাদের সমস্যা কেউ দেখছে না।

তিনি বলেন ‘পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার পুকুর-ডোবা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাল ও নালা ভরাট করার কারণে বর্ষা মৌসুমে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ সমস্যা লাঘবের জন্য ভরাট করা খাল ও নালাগুলো পুনরায় খননসহ উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুর দাবি জানালেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মো. হারিছুর রহমান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয়ে একাধিক প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন পেলেই ঠিকাদারের মাধ্যমে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা হবে।’

 

আরও খবর: 

সিপিএ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ঢাকা

‘এক তর্জনীর নির্দেশ, স্বাধীন হলো বাংলাদেশ’

রাখাইনে সেনা-তাণ্ডব থামেনি, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা