আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনু চন্দ্র জানান, সিটি করপোরেশনের তিনটি গাড়ি নিখোঁজের জিডি তদন্ত করার জন্য বুধবার (০১ নভেম্বর) থানা থেকে আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সেনসিটিভ হওয়ায় জিডি তদন্তের জন্য আদালতের আদেশ চেয়ে বৃহস্পতিবার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আবেদন করেছি। কিন্তু আদালত থেকে এখনও আদেশ পাইনি।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সিলেট সিটি করপোরেশনের তিনটি গাড়ি গায়েব, থানায় জিডি এবং বুধবার (০১ নভেম্বর) সিসিক’র গাড়ি নিখোঁজ : জিডি করে ভুলে যান কর্মকর্তা শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরপর সিটি করপোরেশনসহ পুলিশ প্রশাসনে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা পুলিশও মাঠে নামে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাধারণ ডায়েরির বাদী জাবেরুল ইসলামকে।
যন্ত্রাংশ নিয়ে যেতে বাধা না দেওয়া প্রসঙ্গে শরীফ উদ্দিন পুলিশকে জানিয়েছেন, যারা নিয়ে গেছে তারা পরিবহন শাখার। এ কারণে তিনি বাধা দেননি। তবে রাতের অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ায় তাদের পুরোপুরি চেনা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, ‘করপোরেশনের তিনটি গাড়ি নিখোঁজের পর থানায় জিডি করা হলেও বিষয়টি নজরে আসেনি। যখন বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারলাম তখনই জিডিটি খুঁজে বের করে তদন্তের জন্য পুলিশের এক এসআইকে নির্দেশ দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে করপোরেশনের রাত্রিকালীন নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলেছেন।’