গত ১ নভেম্বর সিলেট কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা জিডি তদন্তের আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বেনু চন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে এই জিডিটি তদন্ত করতে কেন বিলম্ব করা হলো জানতে চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বেনু চন্দ্র আদালতকে বিলম্বের বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করেন। আদালত তার লিখিত বক্তব্য আমলে না নিয়ে জিডির তদন্ত প্রতিবেদন বুধবার (১৫ নভেম্বর) দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিটি করপোরেশনের তিনটি গাড়ি নিখোঁজের জিডি তদন্ত করে ১৫ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দাখিল না করে আরও সাত দিন সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ২২ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
গত ৩০ অক্টোবর ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের তিনটি গাড়ি গায়েব, থানায় জিডি’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে প্রথম সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট মহলের টনক নড়ে। পরে ১ নভেম্বর ‘সিসিকের গাড়ি গায়েব: জিডি করে ভুলে যান কর্মকর্তা’ এবং ৩ নভেম্বর ‘সিসিকের গাড়ি গায়েব: অবশেষে জিডির তদন্তে নামলো পুলিশ’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে আরও দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরপরই গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে সাড়া পড়ে যায়। পরে এই ঘটনায় গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।