সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপাচার্যের সমর্থক একদল শিক্ষার্থী তার কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে বের করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় বলে তাদের অভিযোগ।
আহত শিক্ষকরা হলেন হাফিজ আল আমীন পলাশ, সাজদিক আহমেদ, হাসান জামিল, মাসুদ ইবনে আফজাল, আতিকুল হক ও রুবাইয়াত হাসান।
প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. বলরাম রায় জানান, এই ধরনের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আহত শিক্ষকদের হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের চিকিৎসা শেষে পরবর্তী কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডা. এসএম হারুন উর রশিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পরামর্শ বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করে ওই পদে প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন খানকে দায়িত্ব দেয়। এই ঘটনার পরপরই শিক্ষকরা উপাচার্যের কক্ষের মেঝেতে বসে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (উপচার্য) প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে দুই দিন আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও পরামর্শ বিভাগের পরিচালক ডা. এসএম হারুন উর রশিদ। সে কারণে তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের অভিযোগ।
অবস্থান ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আনিস খান, সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান, সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ ফেরদৌস মেহেবুব, সহ-সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডা. এসএম হারুন-উর-রশিদ, প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।