বেনাপোলে ১০ মাসে ৪৩ কেজি স্বর্ণ ও ২ কোটি হুন্ডির টাকা উদ্ধার

বেনাপোল সীমান্তে আটক স্বর্ণ চোরাচালানকারী (ফাইল ছবি) বেনাপোল সীমান্তে গত আট দিনে পাঁচ ভারতীয় নাগরিকসহ প্রায় আট কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও বিজিবি সদস্যরা। এছাড়াও গত ১০ মাসে এ সীমান্ত থেকে প্রায় ৪৩ কেজি স্বর্ণ ও হুন্ডির দুই কোটি টাকা উদ্ধার করেছে বিভিন্ন সংস্থা। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে চোরাচালান চক্রের ৩৬ সদস্য। বিজিবি ও কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে স্বর্ণ পাচারের সময় স্বর্ণসহ পাচারকারীরা বিজিবির হাতে আটক হওয়ার কারণে কৌশল বদল করেছে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্যরা। এ বছরের শুরু থেকে চোরাই পথের বদলে পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার করছে তারা। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার, এছাড়া সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। এ কারণে স্বর্ণ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে চলে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

বেনাপোল সীমান্তে আটক হুন্ডির টাকা (ফাইল ছবি) এ ব্যাপারে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক  জানান, ভারতে সোনার চাহিদা বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ভারতে প্রচুর সোনা পাচার করছে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিমানপথে স্বর্ণ আসার পর শুল্ক কর্মকর্তাদের নজর এড়িয়ে বেশ কিছু চালান দেশের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে বিভিন্ন সীমান্তের  বৈধ ও অবৈধ উভয় পথ ব্যবহার করে ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে এসব সোনা।

বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দার ডেপুটি কমিশনার আব্দুস সাদেক বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে আমরা স্বর্ণসহ পাচারকারীদের আটক করে থাকি। পাশাপাশি আমাদের গোয়েন্দারা সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখেন, যাতে দেশের সোনা পাচার হয়ে বাইরে না যায়।’

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, সোনা পাচারের কোনও তথ্য পেলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তা আটক করা হয়। বেনাপোল পোর্ট থানা বিগত দিনগুলোতে অনেক বড় বড় স্বর্ণের চালান আটক করেছে এবং সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর রয়েছে।