‘কর্ণফুলীতে চার জন নয়, দুই জন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন’

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর সেই বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে চার নারী জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই জন ধর্ষণের শিকার ও দুই জন ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মোহাম্মদ নোমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় চার নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জবানবন্দিতে চার নারী জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর দুই জনকে ডাকাতরা ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারি পরীক্ষায়ও চার জনের মধ্যে দুই জনের ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’

গত ১২ ডিসেম্বর কর্ণফুলী থানার একটি বাড়িতে ডাকাতির পর ৪ নারীকে ডাকাতরা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের হস্তক্ষেপে ১৭ ডিসেম্বর মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতারও করে। পরে ২৫ ডিসেম্বর নগর পুলিশ ব্যর্থতা স্বীকার করলে গত ২৬ ডিসেম্বর এই মামলার তদন্তভার নেয় পিবিআই। এ ঘটনায় তারা এপর্যন্ত  চার জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে মিজান মাতব্বর ও আবু শামা নামে দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মিজান ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরদিন ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আবু শামা। একই দিন আবু শামার দেওয়া তথ্যে আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মেম্বার নামে আরেক জনকে গ্রেফতার করে পিবিআই। সর্বশেষ বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।