সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অস্ত্রের ভাষা কোনও জাতির ভাষা হতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অস্থিতিশীল পাহাড়কে শান্ত করার জন্য শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। সেই পাহাড়ে আবারও অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারা অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই করতে পারবেন। অস্ত্র দিয়ে দাবি আদায় করা সম্ভব হবে না।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বেগম জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। এটা যদি আদালতে প্রমাণ হয়, তাহলে উনি দোষী। তিনি দোষী বা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই।’
মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, ‘বিএনপি মিথ্যাচার করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের সেই দুর্নীতির কথা জনগণ ভুলে যায়নি। খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের দুর্নীতির কালো পাহাড়ের খবর জনগণ জানে। তাদের সেই হাওয়া ভবনের স্বর্গীয় রাজ্যের সংবাদও জনগণের জানা আছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘এই বছরই জাতীয় নির্বাচন হবে। দেশের জনগণ সব জানেন-বোঝেন। তাই তারা বিএনপির চক্রান্তকে রুখে দিয়ে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর।
এর আগে, সকালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বর্ধিত সভার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতারা। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।