আ.লীগ সমঝোতায় বিশ্বাস করে না: মওদুদ

কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মওদুদ আহমদ (ছবি- প্রতিনিধি)

আওয়ামী লীগ কোনও ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান জানে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এবার আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। এবারের আন্দোলন হবে ডু অর ডাই আন্দোলন; দাবি আদায় হলে বাঁচবো, নয়ত আত্মহত্যা করবো। আ.লীগ সমঝোতায় বিশ্বাস করে না। তাই আন্দোলন করেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করবোই।’

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের হেভেন কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলনের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবোই। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। একদলীয় শাসনের অবসান আনতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আবার খালি মাঠে গোলও দিতে দেবো না।’

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘একদলীয় নির্বাচন হবে, আর আমাদের বন্দি করে রাখা হবে –এটা আর হতে দেওয়া হবে না। সময় আসছে এবার, এপর্যন্ত যেসব বাধ সৃষ্টি করেছেন, জনগণের আন্দোলনের তোড়ে সব বাধ ভেঙে যাবে।’

খালেদা জিয়ার জন্য কষ্ট লাগে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘দিনের পর দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে বসে থাকতে হয়। আমি ৫০ বছর ধরে আইন পেশার সঙ্গে জড়িত। এ দীর্ঘ সময়ে কখনও শুনিনি, একজন সাধারণ মানুষের সাত দিনের জামিন হয়। অথচ খালেদা জিয়াকে ২৪ ঘণ্টার জন্য জামিন দেওয়া হয়। এমন নিষ্ঠুর আচরণ করছে বর্তমান সরকার। আমি বলবো, এটা কাপুরুষোচিত আচরণ।’

যত দিন খালেদা জিয়া আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন ততদিন তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মানুষ বর্তমান সরকারের পরিবর্তন চায়। নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন হবে বিএনপি, আর খালেদা জিয়া হবেন প্রধানমন্ত্রী।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করে জনগণের কাছে ধরা খেয়ে গেছে। এদেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া উপযুক্ত সময়ে কর্মসূচি দেবেন। এই কর্মসূচি হবে শেষ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির পর নতুন করে আর কোনও কর্মসূচি দেওয়া লাগবে না।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন– মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, জাকির হোসেন, নুরুদিদ্দন আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, হান্নান সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা মালা, ছাত্রদল নেতা আবুল কাউসার আশাসহ অনেকে।